রোদ্দুর
সকালে বাড়ির উঠোনে যতগুলো রোদ এসে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে,
মায়ের আঁচলের গিঁটে তাদের সংগ্রহ করে সযত্নে তুলে রাখি;
টেবিল ল্যাম্পের তাকে তাকে কল্পনাময় পাহাড় কেটে
চায়ের বাগান রাখা থাকে গুছিয়ে;
প্রচন্ড গরমে সেফটি ট্যাঙ্ক ছেড়ে বৃষ্টিফোঁটা ছড়িয়ে দিতে দিতে মুখ উপচে সারতে হয় নীরব লবনাক্ত স্নান!
চার্জার পয়েন্টে পোড়ো বাড়ির দালালি তির ছুটে আসে;
বলিরেখা স্পষ্টতর হয় আরও
ধীরে ধীরে;
আঁচলে থাকা রোদেরা সন্ধ্যে হলে ফিরে যায় আর এক মায়ের বুকে;
বাস ট্রেইন ট্রাম ছাড়িয়ে গ্রামের পথ ধরে-
তাদের যে
অনেক দূর যেতে হবে ছায়াপথ পেরিয়ে।।
কবিজন্ম এবং জিবাক
চাঁদের দেহ থেকে নুড়ি বালি সরিয়ে
পাশ কেটে যাচ্ছে শুষ্কতা
জলের ধারা অবিরল স্বচ্ছতায় নদীর বৈশিষ্ট্য আবিষ্কার করে৷
প্রতিদিন যেমন করে আকাশটাকে কালো জামায়
মুড়িয়ে নিয়ে
পাখিদের নীড়ে বসিয়ে আসা হয়
তারপর ঝরে পড়া আমের আচার কাসন্দি ঘেঁটে
ছড়িয়ে দেওয়া হয় আলমারির তাকে তাকে৷
শষ্যদানায় কাঁদা ঘরে
জন্ম নেয় কবি৷
আমার বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে গন্ধে মেতে ওঠে
সুহানি রাত ৷
কবিরজন্ম হয়
নতুন তত্ত্বের পথ প্রদর্শনে-
যেভাবে আমরা ভেঙে দিই সমস্ত নিয়ম
সেইভাবেই কবিজন্ম হয়
জিরো বাউন্ডারির ছায়াতলায়৷
No comments:
Post a Comment