বারো বছরের পুরনো প্রেমিকা
নিরাপদ বলয়ে
এম.বি.এ , এন.আর.আই পাত্র বুঝে নিয়ে
সুইডেনে পারি দিল যেদিন হঠাৎ ,
সাইকেলের সামনের চাকার
একটা স্পোক ভেঙে গিয়ে
টালমাটাল খেয়ে গেল রাস্তাগুলো।
জার্মানি থেকে বিখ্যাত হার্ট সার্জেনের
একমাত্র স্ত্রী প্রিয় বান্ধবী দিশা
প্যারিস থেকে আনা দামী কলমটা
যেদিন পাঠালো,
কবিতার মেয়েটিও স্বেচ্ছানির্বাসনে...
সেইদিনই ।
এখন সাইকেলের দুটি চাকার
আটচল্লিশটা স্পোক
এলোমেলো উদ্ভ্রান্ত,
ঘূর্ণিঝড়ে পাকখাচ্ছে দিনরাত...
শেষ কবে
যতিচিহ্নে ভর করে
তিনশো সাতান্ন অক্ষরে
অপার্থিব' নামের দীর্ঘ কবিতা লিখেছি ...
ক্যালেন্ডার দেওয়ালে ঝোলানো
বন্ধ করেছি অনেক আগেই ।
বহুপদী রাশিমালার পৃথক সহগ, অনোন্যক , ঘাত ও মাত্রারা
অপেক্ষকের সন্তত সীমান্তে
ঘাড় গুজে
কবিতার মেয়ে
আচমকা
পুরনো সিন্দুকে
প্রেমিকা ও আমার
অনর্থ প্রেমপত্রে
সন্তর্পনে আতসকাচ ধরে।
সতর্কতা তুঙ্গে তখন --
আমি ও বিবস্ত্র প্রায় ..
হাত পা না বেঁধে
ফিরে আসার অতর্কিত ঝুঁকি নেওয়া
মেয়ের অনভ্যাস ।
ঘাড় তোলেনা--
পাছে
প্রেমপত্রের আবছা অক্ষর
একটিও উড়ে না পালায় ....
সমূহ বিপদ বুঝে
ভিতরের সব গিঁটে
আরও পাক দিয়ে
হাত পা ঝেড়ে উঠি --
কবিতা খাতার পাতা ছিঁড়ে ছিঁড়ে
কিছু ঠোঙা
আর তারই পিঠে
মেয়েটির কাল্পনিক নাম
লিখে যাই...
চোখ পাকিয়ে
মলাটে আঁচর কাটা
মেয়েটির স্বনির্বাচিত সাম্প্রতিক
রীতি ও অভ্যাস।
যদিও আতসকাচে সবকিছুকেই
মেয়েটির থেকে ছোট দেখায় ।
No comments:
Post a Comment