জিরো বাউন্ডারি কবিতার ষষ্ঠ সংখ্যার জন্য লেখা জমা দেওয়ার লাস্ট ডেট জুলাই মাসের ১০ তারিখ। দুটো কবিতা বা কবিতা বিষয়ক লেখা নিজের এক কপি ছবি সমেত পাঠিয়ে দিন আমাদের ইমেলে-0boundarykabita17@gmail.com

সঞ্জীব দে



পালাচ্ছে


পালাচ্ছে সবাই। পালাচ্ছে হাঁস-মুরগি মানুষের ভিতরের অাচ্ছাদিত মুখোশ।

পালাচ্ছে বিবেক। কামুক অহিংসা। জাগ্রত স্বপ্নবাস্তবতা। বিভোর হয়ে থাকা নিমগ্নতায় সৃজনবাদ পালাচ্ছে।

পালাচ্ছে সভ্যতার নামে সভ্যতা। মেঘের বুকের বৃষ্টি। অালো ছায়া বসন্তের চেরিফুল পলাশ শিমুল পালাচ্ছে।

পালাচ্ছে সুবোধ। নির্বোধ সারল্যে মৃদুহাসি পালাচ্ছে।

পালাচ্ছে সদ্যজাত শিশুর মা। নারকীয় সম্পর্কে পালাচ্ছে। ডাস্টবিনে প্রথম কান্না। রাত্রির রাস্তা জুড়ে মায়াময়তা। পালাচ্ছে সাধু সন্নাসী কানাই লাল।

পালাচ্ছে সবকিছু যা মানুষ ও জীবের অানুকূল্যে থাকার। এখন শুধু এই পালানো ঝড়ের ধূলি হাওয়ার মতো পাগল হওয়ার নেশা।







মুছে যাবার জন্য ফিরি



মাঝেমাঝে এমন অস্বস্তি অনুভূত হয়, বেঁচে অাছি ভাবনাটুকু ভুলে যেতে থাকি।



মুঝতে পারিনা উপহার হিসেবে পাওয়া পূর্ণ সজ্জিত বাসস্থানটিকে। ভিতর থেকে পুড়ে যায় সবটুকু। যতটুকু পোড়া যায় ঠিক ততটুকু ।



এরপরও কিছুটা শান্ত বাতাসে গা ভাসাতে চায়। অামি মাঝেমাঝে ফিরে যাই
                                               ইলিয়ট পার্কে। 



সেখানে প্রেমিক-প্রেমিকারা যুগল ঠোঁটে
ভালোবাসার লেনদেন করে।
অাকাঙ্খিত প্রেমিকাটির স্তনে মাথা রেখে
প্রেমিক খুঁজে নেয় বিশাল স্বর্গের উদ্যান।



কারো কামনা জেগে ওঠে
                      উত্তাল কামুক নেশায় ।
                      কেউ অাসে গল্পেগল্পে । প্রজাপতির অালাপ চলে
প্রহরের পর প্রহর।



অামি ফিরি। কিছুটা সময় শান্ত বাতাস হতে ফিরি।



ব্যর্থতা। একাকীত্ব। অন্ধকার জীবনে
প্রতিটি রাত ফিরি।

একদিন মুছে যাবার প্রত্যাশা নিয়ে
ফিরি। এ ঘরটিও বিস্তৃত শূন্যতা নিয়ে মুছে যাবে।



অবশ্য ইলিয়ট পার্কের প্রেমিক-প্রেমিকারা অাসবে। ঠোঁটে ঠোঁট,  চোখে চোখ রেখে কথা বলবে ভালোবাসার।



রোজগার মতো গল্পের অাসর বসবে ময়দানে।
শুধু ___
অামি ফিরব অন্যকোনো উদ্যান অথবা কারাবনবাসে।





No comments:

Post a Comment