আর্তনাদ
আমাদের ভিতরে থাকা একটা জলপ্রপাত-
অবিরত অস্থির রাখে!
কোনো এক স্রোতস্বিনীর অবিরাম ধারায় বয়ে চলে আমাদের জীবনের দুঃখ সুখ!
সমাজের বন্দীদশা আমাদের শিখিয়ে দেয় কিভাবে নিঃস্পন্দ হয়ে বাঁচতে হয় জীবনের পথ!
তারা বলে উল্লাস কোরো না, আমরা স্তব্ধ হয়ে যাই!
তাদের শাসানিতে আমরা গুটিয়ে যাই,
গুমরে মরতে থাকি দিনের পর দিন!
আমাদের লাশ জমতে জমতে পাহাড় হয়,
অস্থিমজ্জায় গজায় পরগাছা,
হৃদপিন্ড যায় পচে গলে,
শুধু কি অবিকৃত থেকে যায় নাভিকুন্ডল?
সমাজের অবক্ষয়কারী দের জন্ম দিতে!
সমাজ তবু এগিয়ে চলে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে,
এখানে প্রতিবাদীরা হয় খুন; আর
আততায়ীরা ঘুরে বেড়ায় নিশ্চিন্তে!!
বৈপরীত্য
যে পথে রাতের জোনাকি স্বপ্ন খোঁজে,
সে পথে হেঁটে চলি আমরা,
পথের দু ধারে পড়ে থাকে,-
আমাদের ফেলে আসা কিছু অবাঞ্ছিত ইচ্ছে,
কিছু অবৈধ স্বপ্ন....কিছু অভিমান!
সে অভিমানের পাহাড় ডিঙোতে পারি না আমরা,
তবু সে পাহাড় বেয়ে তিরতির করে বয়ে চলে কোনো অচিন নদী!
সে জলে আমি ভাসিয়ে দিই আমার অস্তিত্বের সবটুকু,
তবু পথ শেষ হয় না...
আমরা দুজন দুই বিপরীত মুখে হেঁটে যেতে থাকি অবিরাম!
No comments:
Post a Comment