আমাদের ঘরদোরআকাশ
রাত্রি দেখিলাম
কালো চুলে মুখ ঢাকিল ।
আমাদের বৈবাহিক দিন পুড়িয়া গেল ।
আমাদের অনুচ্চারিত শিশুর দমবন্ধ হইল ।
কোনও বিকল্প প্রশ্রয় নাই জানিয়া
আমরা বৈরাগ্য চাহিলাম ।
কিন্তু বৈরাগ্য আসিল না ।
আমরা নিসন্ন রাতে চাঁদের খোঁজ করিলাম
কিন্তু চাঁদ দেখিলাম না ।
আমাদের ঘরদোরআকাশ এক রহস্যময় সভ্যতা হইয়া গেল ।
প্রত্যাগমন
প্রেম আসিল না , কলঙ্ক আসিল
সংসারে কণ্টকের শয্যা পাতিয়া দিল
মন রক্তাক্ত হইল
অসহিষ্ণু সন্তান জন্মাইল
রাস্তা হারাইয়া গেল
রাস্তায় ঝরে পড়া অশ্রুপাপড়িগুলি সারাদিন কুড়াইলাম
নিজের সঙ্গে নিজেরই কথা হইল
নিজেকে শাসন করিলাম
তবু এক অবাধ্যতার ঝড় আসিয়া আমাকে উড়াইয়া দিল
আজও উড়িতে উড়িতে চলিয়াছি কোনও আদিম অরণ্যের দিকে
জলগান
কৌতুক জলের কাছে বিজ্ঞাপিত হই
বিম্বিত ছায়ার হাসি মিশে যায় জলে
জলও হাসে, জলের ঔরসে
আত্মজনেষু মায়া জন্মায় অন্তরালে
জীবন সত্যের কাছে অন্ধ বাউল
দ্যাখে শুধু জলোচ্ছ্বাস, নত অন্ধকার
চারপাশে ভিক্ষার দেওয়াল দেওয়া ঘর
ঘরে ঘরে মুণ্ডুহীন ধড়, নিঃস্ব করতল
হাততালি তোলে ঢেউ, ভেজা অভিমান
দুপুরও ভেঙে যায়, নৌকায় প্রজ্ঞা পার হয়
কতদূর এসে তারপর জেগে ওঠে মূর্খ হৃদয়
বাঁশ ও বাঁশির কাছে তবু জল ভেজা জলগান
সংশয়ের সিলেবাস
নিজেকে গড়ানোর প্রক্রিয়া কী
সমাজের কীভাবে উন্নতি হবে
কল্যাণ কল্যাণ বলে যাকে ডাকি
সে কি প্রকৃত কল্যাণ ?
এসবই সংশয়ের সিলেবাস
রোজ সূচিপত্র দেখে দেখে
ধ্বংসাবশেষ হাতড়াই
সময়ের মরালাশ বজ্রের আলোয় চকচকে
বিভূতি উড়িয়ে দেখি শুধু হাড়
বেঁচে থাকা যদি নদীর মতো হয়
বিশ্বাস যদি পাহাড়ের মতো
তাহলে ধ্বংসাবশেষই সংশয়
আলো জ্বেলে কিছুই দেখা যায় না
অথচ অন্ধকারে স্পষ্ট হয় কল্যাণের মুখ
সব কবিতগুলিই দারুণ লাগলো।
ReplyDelete