ভেজা রাস্তায় ছাপ ফেলে মিলিয়ে যায় টানা রিক্সার ঠুকঠুক হুঁশিয়ারি
সওয়ারির মতোই কেউ ছিলো যেন পেরিয়ে যাবার
খেয়াল করা হয় না বাড়ির শুকিয়ে যাওয়া বনতুলসীর কথা ভেবে
ভরা বর্ষায় জংলি এমন চলে যাবার গেরোয় মেতে উঠেছিলো কেন
সে ভাবার সময় থাকে না
মোবাইলের মেমরি কার্ডে অনেক অপূর্ণতা ধরা থাকে পূর্ণতার জলে
তা দিয়ে নদী গড়া যায় কিনা বহুদূরের ভেজা ডানারা নিরাপদ আশ্রয়ে বসে ভাবে
কোন এক শুক্রবারের ছোঁয়া লেগে থাকে ফিরে ফিরে আসা পক্ষে
অ্যাক্রিলিক রঙ কেনার কথা ছিলো যুগলে
হাটেবাজারে বারোয়ারি চোখে একা দোকানির হাত... একেবারে বারণ
সে বসে থাকে এখনো ভেজা বালি গাদায়...
সমস্ত দেখি
মনে মনে কচিবেলায় ফিরে যাই এড়িয়ে যাবার আশায়
প্রতিটা ভোরের কপালে ক্রস চিহ্ন আঁকার কালে
গুলিয়ে যায় জন্মান্তরের হিসেব।
হক্কের
সবে তো ভোরের আগল খুলে দিলো পাহারাওয়ালা
সেই কোন অন্ধকার থাকতে
ঘুমের ধাপে ধাপে উঠে গেছি নির্ঘুম
স্বপ্নেরা বুঝি তোমার সাথে ওপারে খেলে
নিয়ম ছন্দ বাঁধন বুঝি না
এপারে সবাই তোমার হাত ছুঁতে দেয় না নিঃশর্ত
জ্বররঙ এক পক্ষপ্রায়...
আদরের অধিকার নজরবন্দী সেই অতীত কলুষে
বড় জেদি বর্ষা জল শুষে গর্ভিণী
টানটান হাসি আঁকা থাক ভরা কান্নাবিল
ঘণ্টা মাইল উড়িয়ে তোমার পাপপুণ্য মাখি
আধাআধি শাস্তি দেবে বখরায়?
No comments:
Post a Comment